জিলাপির ইংরেজি কি ও জিলাপি কি ভাষার শব্দ
জিলাপির ইংরেজি কি?
জিলাপি ইংরেজি অনুবাদে “Jilapi” বা “Jalebi” হয়। জিলাপি একটি প্রকারের ভারতীয় মিঠাই বা সুজির পিঠা (sweet) যা পুরো উত্তর ভারতে এবং বাংলাদেশে খুব প্রচলিত। এটি মুখ্যতঃ সুজি, গুড় বা চিনি, দুধ বা দই, ঘি বা তেলে ভাজা হয় এবং তারপর শর্করার পানির মধ্যে সুস্থতার জন্য ভিজিয়ে রাখা হয়। এটি সাধারণভাবে হলুদ রঙের একটি চাকচাক আকৃতি ধারণ করে এবং খুব মিষ্টি এবং সুস্বাদু। জিলাপি সাধারণভাবে উষ্ণ অভিষেক বা দল পরিবেশনের সময় বিশেষ রূপে পরিবেশিত হয়।
জিলাপি কোন ভাষার শব্দঃ
জিলাপি শব্দটি বাংলা ভাষার শব্দের একটি রূপ। এটি বাংলা ভাষায় একটি প্রচলিত মিষ্টির নাম, যা সুজি, গুড় বা চিনি, দুধ বা দই, ঘি বা তেলে ভাজা হয় এবং শর্করার পানির মধ্যে ভিজিয়ে তৈরি করা হয়। জিলাপি বাংলাদেশ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, অসম, ত্রিপুরা এবং অন্যান্য উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রান্তীয় রাজ্যে খুব প্রচলিত একটি পদার্থ। এটি হলুদ রঙের একটি চাকচাক আকৃতি ধারণ করে এবং মিষ্টি এবং সুস্বাদু।
জিলাপির সম্পর্কে কয়েকটি হিস্টরিক্যাল প্রেসপেক্টিভ উল্লেখযোগ্য তথ্যঃ
- জিলাপি ভারতীয় প্রাচীন গ্রন্থ কথাসরিত্সাগরে (Kathasaritsagara) বা “সমুদ্রের গল্পবিশেষ” নামক সংস্কৃত গ্রন্থে উল্লেখিত ছিল। এই গ্রন্থে একটি মিষ্টির বর্ণনা রয়েছে, যা জিলাপির মত দেখতে সামান্য ছিল। এটি প্রাচীনকালের জিলাপির প্রাথমিক রূপকে সূচনা করতে পারে।
- মুগল সম্রাট আকবরের শাসনকালে ভারতে জিলাপি প্রচলিত ছিল। আকবরের শাসনকাল প্রাচীন বাংলা মিষ্টির বৃদ্ধির সময় ছিল এবং এই সময়ে জিলাপির উৎপত্তি সম্ভাব্য ছিল।
জিলাপি নাম করণ করে কে?
জিলাপি নামটি সম্ভবত ভারতীয় উপমহাদেশে বা প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশে উৎপত্তি হয়েছিল। এটি একটি প্রাচীন মিষ্টি যা ভারতের প্রাচীন শহর গদ্দিযা বা মথুরা উপমহাদেশে প্রচলিত ছিল। মুগল শাসনের সময়ে এই মিষ্টি জানা হয়েছে এবং আকবর এবং জহাঙ্গীর পরিবারের সময়ে এটি সর্বাধিক জনপ্রিয় ছিল।
জিলাপির নাম করণে নির্দিষ্ট একটি শখের নাম বা সৃষ্টিকারীর নাম উল্লেখ করা যায়নি। বিভিন্ন স্থানে জিলাপি নাম করার সম্ভাবনা রয়েছে যেখানে এই মিষ্টির উৎপত্তি হয়েছে। এই প্রস্তুতি বা সৃষ্টির পেছনের একটি শখ বা বৃদ্ধির ব্যক্তিগত ইতিহাস উল্লেখ করা যায় নি।
ভারতীয় মিষ্টি ও খাবার সংক্রান্ত বৃদ্ধির ইতিহাসে জিলাপির অপরিহার্য ভূমিকা রয়েছে, এবং প্রাচীন সময়ে মুগল শাসন সময়ে তার জনপ্রিয়তা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এখানে উল্লেখযোগ্য যে, জিলাপির উৎপত্তি এবং নাম করণের ইতিহাস সম্পর্কে এখনও অনেক বিষয়ে গোপন তথ্য ও অভিযোগ বা মৌলিক প্রমাণ প্রয়োজন রয়েছে। ইত্যাদি……